রাজ-সমাজ-অর্থ + নীতি
বাজেট ২০২১-২২ ও উত্তর পূর্ব ভারত - বরাদ্দ রাশির নিরিখে
ডঃ রাখী ভট্টাচার্য
ভাষান্তর - জয়দীপ ভট্টাচার্য
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ডঃ রাখী ভট্টাচার্যের কলমে এই প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে "দি স্টেটসম্যান" এর ইংরেজি সংস্করণে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে রাখী ভট্টাচার্য বর্তমানে জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপিকা পদে বৃত
যদিও তার জন্ম এবং শিক্ষা তথা পেশাগত জীবনের অনেকটাই কেটেছে উত্তর পূর্বে।
প্রাসঙ্গিকতা বিচারে এটির বঙ্গানুবাদ প্রকাশিত হল এখানে ...
উত্তর পূর্ব ভারতের ক্ষেত্রে এবারের বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধিকে বিচ্ছিন্ন ভাবে না দেখে গত পাঁচ বছরে এই অঞ্চলের জন্য অনুসৃত সরকারি নীতির ধারাবাহিকতার প্রতিফলন হিসেবে দেখা উচিত। ২০২০-২১ এ যে সংশোধিত বরাদ্দ রাশি ছিল ৫১,২৭০ কোটি টাকা এবারের বাজেটে সেটা বেড়ে হয়েছে ৬৮,০২০ কোটি টাকা।
এক্ট ইস্ট নীতির অধীনে ২০১৪ সালে এতদঅঞ্চলের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের স্বার্থে যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তাকে বজায় রাখতে ২০১৬ - ১৭ থেকে ২০২১-২২ অব্দি সময়কালে উত্তর পূর্বের ব্যায় বাজেট গড়পড়তা ১৯ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধির হার জারি রয়েছে। যেহেতু এইসব প্রকল্পের ব্যায়ভার বহন করছেন কেন্দ্রীয় সরকার তাই বিভিন্ন মন্ত্রক ও বিভাগের বাজেট বরাদ্দ থেকে এই ব্যায় মেটানো হচ্ছে। কিন্তু এই বরাদ্দের ৮২ শতাংশ অর্থাৎ ৫৫,৮২০ কোটি টাকা কিন্তু ব্যয়িত হবে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলোর রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে, ফলে মূলধন বিনিয়োগ হবে মাত্র ১২,২০২ কোটি টাকা যা থেকে প্রকৃত সম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দের অপ্রতুলতা সহজেই অনুমেয়। এর থেকে এই অঞ্চলের রাজস্ব ঘাটতি কমানোর প্রয়োজনীয়তাও বোধগম্য হয়।
এটা বলা হচ্ছে যে অতিমারি জনিত এই অভুতপূর্ব পরিস্থিতিতে সরকারি ব্যায় বৃদ্ধি হলে তা স্থানীয় অর্থনীতি কে জলহাওয়া দেবে, পুনরুজ্জীবন করবে। উত্তর পূর্বাঞ্চল যেহেতু অনেক কাল থেকে ক্ষয়িষ্ণু অর্থনৈতিক ভারসাম্য তথা অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্যের শিকার তাই কেন্দ্রীয় তহবিলের উপর এই অঞ্চলের নির্ভরতা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আসাম সহ উত্তর পূর্বের ৮টি রাজ্যই তাই বিশেষ শ্রেণীভুক্ত এবং সরকারি বদান্যতায় পুষ্ট। ১৯৬৯ সালে প্রথম এই নীতিমালা তৈরি হয়, মূলতঃ উত্তর পূর্বের ভৌগলিক অবস্থান, অর্থনৈতিক অনুন্নয়ন, লাগোয়া আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং জনবিন্যাসকে মাথায় রেখে। গত তিন দশকে অর্থনৈতিক ও পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য তাই সেই লক্ষ্যে অনেকগুলো ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে কিন্তু বাস্তবিক পরিস্থিতি তাতে কতটা উন্নীত হয়েছে তা বিতর্কের বিষয় কারন এখনো এই অঞ্চলটি ব্যাপকভাবে কেন্দ্রীয় তহবিলের উপর নির্ভরশীল রয়ে গেছে।
১৯৯৮ থেকে এই অঞ্চলের অর্থনীতি তথা পরিকাঠামোর উন্নয়নে প্রতিটি মন্ত্রকের বাজেট বরাদ্দের ১০ শতাংশ ব্যায়িত হচ্ছে। বিভিন্ন মন্ত্রকের বার্ষিক বরাদ্দের অব্যায়িত রাশি (Non lapsable central pool of resources), যা থেকে যায়, তা থেকে এই খরচ মেটানো হয়। গত পাঁচ বছরে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ এবং হাইওয়ে মন্ত্রক থেকে যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নয়নে এই অঞ্চলে প্রচুর বরাদ্দ ব্যায়িত হয়েছে। ২০২১-২২ বাজেটে এই খাতে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সংখ্যার হিসেবে যা ৯৫৯০ কোটি টাকা। এটি মোট বরাদ্দের ১৪ শতাংশ এবং এর পুরোটাই মূলধন বিনিয়োগ খাতে উত্তর পূর্বের সড়ক তৈরির কাজে ব্যায়িত হবে।
এই বৃহৎ বাজেট বরাদ্দ উত্তর পূর্বের পরিবহন ব্যাবস্থাকে উচ্চমানে পৌঁছে দেওয়া তথা এই অঞ্চলকে বাকি দেশের সাথে জুড়ে দেওয়ার বৃহত্তর লক্ষ্যকে মাথায় রেখে গৃহীত হয়েছে। এই উদ্যোগের শুরুয়াত ২০০৬ সালে - কেন্দ্রীয় সরকারের অভিনব "স্পেশাল এক্সিলারেটেড রোড ডেভেলপমেন্ট" প্রকল্পের অধীনে। ২০১৭ থেকে এই উদ্যোগের নতুন নাম দেওয়া হয়েছে - "নর্থ ইস্ট রোড সেক্টর ডেভেলপমেন্ট স্কীম"। গত পাঁচ বছরে এই প্রকল্পের অধীনে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এবং সেতুর কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে যা উত্তর পূর্বের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য তথা এই অঞ্চলের সুরক্ষা কে ত্বরান্বিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এবারের বাজেটে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে আসামের প্রতি। ১৩০০ কিঃমিঃ সড়ক তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এই রাজ্যে। এছাড়া অতিরিক্ত ১১.১০ লাখ কোটি ও ২০০০ কোটি টাকা রেলপথের উন্নয়ন ও বন্দর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
উত্তর পূর্বের কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থান এবং কেন্দ্রের সহযোগিতায় এই অঞ্চলে আন্তজার্তিক পুঁজি নিবেশের পথ ধীরে ধীরে প্রশস্ত হচ্ছে এবং এখানকার অনেকগুলো আন্তর্সীমান্ত ভিত্তিক যোগাযোগ প্রকল্প রূপায়নে পাব্লিক প্রাইভেট পার্টনার শিপ এর ভিত্তিতে জড়িত হয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, জাপান ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সির মতো বহুপক্ষীয় আন্তর্জাতিক সংস্থা। অতিমারি পরবর্তী পর্যায়ে পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে এইসব উদ্যোগ এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
অতিমারির প্রেক্ষিতে এবারের বাজেটে স্বভাবতই স্বাস্থ্যসেবা ও গনস্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এবং নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে এবারে উত্তর পূর্বের জন্য যথাক্রমে ৫৪৬৪ কোটি এবং ২৪১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া আসামের চা শ্রমিকদের (যার ৫০ শতাংশই নারী ও শিশু শ্রমিক) উন্নয়নে অতিরিক্ত ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই বরাদ্দ এইসব শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির নিশ্চয়তা এবং নারী শ্রমিক, যারা রাতের শিফটে কাজ করেন, তাদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে আশা করা যায়।
গত কয়েক দশক ধরে আসামের চা শ্রমিকদের জীবনে উন্নয়নের ছোঁয়া অধরা যদিও এই চা শিল্পকে আসামের গর্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে এবং তাদের অবদান অনস্বীকার্য। আসামের রাজস্বের অনেকটাই আসে এই চা থেকে। এই বাজেট বরাদ্দ কি সত্যিই তাদের অন্তর্ভুক্তি মূলক উন্নয়নের খাতিরে নাকি আসন্ন নির্বাচনের জন্য ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর স্বার্থে ? নাহলে এরকম অনুন্নত আরো গোষ্ঠী বা অঞ্চল অবশ্যই রয়েছে যেখানে এইধরনের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী, উদাহরণ স্বরূপ বরাক উপত্যকার কথা উল্লেখ করা যেতেই পারে কারণ বহুদিন ধরে এই উপত্যাকা সরকারি নীতিনির্ধারকদের চোখের আড়ালে রয়ে গেছে এবং অনুন্নয়নের জন্য নাগরিকরা নানাভাবে ভুগে চলেছেন।
পানীয় জল এবং স্যানিটেশন বিভাগ থেকে এই অঞ্চলের জন্য এবারে বরাদ্দ করা হয়েছে ৫৮৫৭ কোটি টাকা (মোট বরাদ্দের ৯ শতাংশ) এবং কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে বরাদ্দের পরিমাণ ৫৭৪৭ কোটি টাকা (মোট বরাদ্দের ৮ শতাংশ)। আশা করা যায় এর ফলে গ্রামীন এলাকা এবং বাসিন্দা যাদের কাছে উন্নয়নের সুফল এখনো অধরা,তারা উপকৃত হবেন।
এই বাজেটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হচ্ছে মানব সম্পদ উন্নয়ন খাতে লক্ষ্যনীয় উদ্যোগ গ্রহণ। এই বাজেটে এতদঅঞ্চলের বিদ্যালয় তথা সাক্ষরতা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪৯২০ কোটি টাকা এবং উচ্চ শিক্ষা খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ৩০১২ কোটি। এটা মোট বাজেট বরাদ্দের ১২ শতাংশ। অতিমারি পরিস্থিতি তথা জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ এর প্রেক্ষিতে ডিজিটাল শিক্ষা পদ্ধতি বর্তমানে "নিউ নর্মাল" হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। উত্তর পূর্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষা পরিকাঠামোর অপ্রতুলতাকে দুর করতে এই বরাদ্দ সাহায্য করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এই বাজেটের আরেকটি অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে অন্তর্ভুক্তি মূলক উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা বাড়ানোর লক্ষ্যে গৃহীত পরিকল্পনা, যা "আত্মনির্ভর ভারত অভিযান", স্টার্ট আপের প্রতি বিশেষ নজর, এবং ক্ষুদ্র শিল্পের পুনরুজ্জীবন ইত্যাদি পদক্ষেপের মাধ্যমে ইতিমধ্যে বহুল আলোচিত। ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে উত্তর পূর্বে বিশাল সুযোগ রয়েছে এবং বর্তমানে সারা দেশের ক্ষুদ্র শিল্প ভিত্তিক উৎপাদনের ৯ শতাংশ উত্তর পূর্ব থেকে আসে। কিন্তু এক্ষেত্রে উৎপাদনকের বাজারজাত করার ক্ষেত্রে পরিকাঠামো গত সমস্যা রয়েছে। কেন্দ্রীয় মাইক্রো, স্মল এন্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ (MSME) মন্ত্রকের তরফে এই অঞ্চলের জন্য বরাদ্দকৃত ১৬০৭ কোটি এইসব শিল্পের পুনরুজ্জীবন এবং যারা অতিমারি এবং তারও আগে নোটবন্দীর প্রভাবে জীবিকার সাধন হারিয়েছেন তাদের কল্যানে যাতে ব্যায়িত হয় সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজনীয়।
অন্য একটি ক্ষেত্র যার উত্তর পূর্বে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে তা হচ্ছে "ট্যুরিজম" বা "পর্যটন শিল্প"। কিন্তু এবারের উত্তর পূর্ব বাজেটে এই বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব পায়নি। এই খাতে বরাদ্দ ১৯০ কোটি টাকার পুরোটাই রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে ব্যায়িত হবে। কোভিড পরিস্থিতির জন্য এই ক্ষেত্রটি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর পুনরুদ্ধারে সরকারি বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। উত্তর পূর্বের জন্য ক্ষুদ্র শিল্প এবং পর্যটন দুটোই গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রচুর সংখ্যক জনগনের অন্নসংস্থানের উৎস এই দুটি ক্ষেত্র। এই খাতে তাই অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজনীয় ছিল।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক এবং বানিজ্য মন্ত্রক থেকে তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি বাজেট বরাদ্দ ধার্য্য হয়েছে - যথাক্রমে ১৮৯২ কোটি এবং ৩০০ কোটি টাকা। এই বরাদ্দ সম্ভবত এই অঞ্চলকে ভবিষ্যতে শক্তি কেন্দ্র এবং অর্থনৈতিক করিডোর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে। উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ শক্তিকে পার্শ্ববর্তী দেশে রপ্তানি করার উদ্দেশ্য এর পিছনে কাজ করেছে। তবে এই বৃদ্ধি কতটা স্থানীয় জনগনের অন্তর্ভুক্তি মূলক উন্নয়নে ভুমিকা নেবে তা দেখার ব্যাপার।
এই প্রসঙ্গে আরেকটি লক্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে উত্তর পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকের খাতে কিন্তু এবার অনেক কম বরাদ্দ ধার্য্য হয়েছে। এবারের ২০২১-২২ বাজেটে এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ১৫৪৫ কোটি যা ২০২০-২১ এ ছিল ১০৩৯ কোটি এবং ২০১৬-১৭ তে ছিল ১০০৭ কোটি টাকা। এই মন্ত্রকের মোট ব্যায় বরাদ্দ যা ২০১৬-১৭ তে ছিল ৩.৪৬ শতাংশ তা ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ এ কমে দাঁড়িয়েছে ২ শতাংশে। এই স্বল্প বরাদ্দ এই বিশেষ মন্ত্রক যা মূলতঃ উত্তর পূর্বের উন্নয়ন এবং বাকি দেশের সাথে সমতাসাধনের স্বার্থে তৈরি,তার উদ্দেশ্য এবং ভুমিকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্নের উদ্রেক করছে।
অতিমারি জনিত পরিস্থিতিতে এই বাজেটে পরিকাঠামো ও গনস্বাস্থ্য ব্যাবস্থার উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। জীবন ও জীবিকার এই ধরনের উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে নীতিনির্ধারকরা আগামী অর্থবর্ষে ভারতে "V - আকৃতির" পুনরুজ্জীবন আশা করছেন। ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম কল্যাণ যোজনা এবং আত্মনির্ভর অভিযান এই দুই প্রকল্পখাতে বরাদ্দকৃত ২০ লাখ কোটি টাকার পরিপ্রেক্ষিতে এই বাজেট গত এক বছরে যে পাঁচটি "মিনি বাজেট" ঘোষণা করা হয়েছিল তারই পরিনতি বলা যেতে পারে। উত্তর পূর্ব ও সেই হিসেবে বরাদ্দের ভাগ পেয়েছে যাতে দেশের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে চালকের ভুমিকা নিতে পারে। স্থানীয় নেতৃত্ব এবং প্রশাসন এই স্বপ্নকে কতটা বাস্তবে রূপায়িত করতে পারেন তা অবশ্যই লক্ষণীয় বিষয় হবে।