রাজ-সমাজ-অর্থ + নীতি
ভাবনায় নির্বাচন ২০২১
পর্ব ৬
বিষয় : কিছু ভাবনা যাকে নিরপেক্ষ বলা যায় না...
জয় মুখার্জী
২০ মার্চ ২০২১
দেখতে দেখতে এসে পড়লো ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন।
আসামের নির্বাচনের তারিখ ঠিক হয়েছে ২৭ মার্চ, ০১ এপ্রিল এবং ০৬ এপ্রিল।
বরাক উপত্যকায় নির্বাচন আগামী ০১ এপ্রিল ২০২১।
আসন্ন নির্বাচন কে সামনে রেখে "ঈশান কথা" পুরো মার্চ মাস ধরে আপনাদের সামনে তুলে ধরবে এই ধারাবাহিক
"ভাবনায় নির্বাচন ২০২১"
যাতে থাকবে নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই সমাজের বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, লেখক, বিভিন্ন পেশায় যুক্ত থাকা মানুষ এবং ছাত্রছাত্রী দের ভাবনাচিন্তা, মত-অভিমত, অথবা বিশ্লেষণমূলক লেখা ...
আজ পর্ব ৬ ...
সম্পাদক, ঈশান কথা।
নির্বাচন ২০২১ সম্পর্কে প্রবন্ধের আহ্বান করেছেন জেনেই জিভ লকলক করে উঠলো। আমি সব বিষয়ে একটা অভিমত রাখি, এবং সেটা একেবারেই নিরপেক্ষ নয়। নিরপেক্ষতা আমার মতে এক ধরনের চালাকি। পেশাগত কারণে আমি আজকাল নিজেকে সামাজিক মাধ্যম থেকে কিছুটা সরিয়ে রেখেছি, আমার জিভকে লাগাম পরানো হয়েছে। কিন্তু আমার চিন্তাকে নয়।
তাই এই লেখাটি চিঠি আকারেই পাঠাচ্ছি, ভালো লাগলে প্রকাশ করবেন।
####
তিনটি রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে আমি যা বুঝি তা বোঝানোর চেষ্টা করছি। প্রথম রাজ্য হচ্ছে তামিলনাড়ু, যেখানে আমি প্রায় সাত বছর কাজ করেছি। দ্বিতীয় রাজ্য হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, যেখানে আমি আপাততঃ আছি। তৃতীয় ও শেষ রাজ্য হচ্ছে আসাম, যার আমি ভূমিপুত্র। কেরল সম্পর্কে বলার নেই, যতদূর বুঝতে পারি, পিনারাই বিজয়ন ই আবার ক্ষমতায় ফিরবেন। হয়তো আসন সংখ্যা কম হতে পারে।
রাজনীতিতে দুর্নীতির কোনো বিকল্প নেই। কেউ যদি বলেন, যেমন আজকাল কিছু বিক্ষুব্ধ নেতা বলছেন, যে তিনি দুর্নীতিমুক্ত তবে উনি হয় মিথ্যেবাদী নাহয় পাগল। তামিলনাড়ুতে ব্যাপারটা মাত্রায় বিশাল। ওখানে ছিঁচকে চুরি হয়না, তা যে দলই থাক। তবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেক বেশি থাকার কারণে জনগণের সুযোগ সুবিধার কোনও ঘাটতি হয় না। আমি তামিলনাড়ুতে ভাঙা রাস্তা দেখেছি বলে মনে করতে পারছি না, ওখানে পিডিএস ব্যবস্থা অতুলনীয়, স্কুলে ছাত্র-শিক্ষক দুইই পাওয়া যায়, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বলা বাতুলতা। তবুও দুর্নীতি হয়, তবুও অসন্তোষ থাকে।
দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে এই প্রথমবার ভোট হচ্ছে যখন করুণানিধি বা জয়ললিতা কেউই বেঁচে নেই। গতবার ভোটে AIADMK জেতার পর জয়ললিতা মারা যান, এবং বিজেপি দুই পুতুলকে রাজ্যে সিংহাসনে বসাতে সক্ষম হয়। এবার নির্বাচনে আমার মনে হয় এটাই মূল ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে- দ্রাবিড় স্বাভিমান। এর আগে কখনও কেন্দ্রের সরকারের তল্পিবাহক হয়ে যায়নি তামিলনাড়ুর কোনো স্থানীয় রাজনৈতিক শক্তি। শশীকলা অবসর নিয়েছেন, দিনাকরণ তাঁর শক্তি-সীমা বুঝতে পেরেছেন, রজনীকান্ত রণে ভঙ্গ দিয়েছেন। কামাল হাসান- তাঁর সদিচ্ছা নিয়ে সন্দেহ না থাকলেও, তাঁর সেই সংগঠন নেই। তাঁর ভোট চেন্নাইয়ে সীমিত হবে বলেই ধারণা। গতিকে আমার মনে হয় এবার সরাসরি লড়াই হবে দুই মূলধারার দ্রাবিড় দলের মধ্যে এবং যদি অনুমান সত্যি হয় DMK জোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। AIADMK সরকারের এইভাবে দিল্লির কাছে মাথা নত করা ভালো লাগেনি স্বাভিমানি তামিলদের। পেরিয়ারের মূর্তি ভাঙা, জায়গায় জায়গায় উগ্র হিন্দুত্ববাদ মাথাচাড়া দেয়া, ভালোভাবে নেয়নি জনতা। দক্ষিণ ভারতের উত্তর প্রদেশ বলে খ্যাত কর্ণাটক ছাড়া ওই অঞ্চলের কোনো রাজ্যেই হিন্দুত্ব তেমন থাবা বসাতে পারে নি, এখনো পর্যন্ত। তাই এই ভুলের মাশুল হয়তো গুনতে হবে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলকে।
####
কেন্দ্রে শাসনে থাকা দলের প্রধান সাফল্য হচ্ছে যে তাঁরা প্রায় সব প্রতিষ্ঠানকে নিজের কুক্ষিগত করেছেন, তাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব খর্ব করেছেন। সিবিআই, ইডি ইত্যাদি বরাবরই ক্ষমতার অপব্যবহার এর হাতিয়ার হয়েছে, এই সূচিতে যুক্ত হয়েছে আরো অনেক প্রতিষ্ঠান। সেই অনুসারেই পশ্চিম বঙ্গে ভোট হচ্ছে আট-নয় পর্যায়ে।
কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্য লাগছে এই কারণে যে ইস্যু নিয়ে রাজ্য-দেশ সরগরম ছিল, সেই nrc-caa নিয়ে কোনো দল কোনো কথা বলছে না। নাগরিকত্ব এখনো নির্বাচনে ইস্যু হয়ে উঠতে পারে নি।
বিজেপি কেন এই বিষয় নিয়ে কিছু বলছে না এটা সহজেই বোধগম্য। CAA দিয়ে যে হিন্দু বাঙালিকে বোকা বানানো যাবে না, অন্ততঃ বাংলার বাঙালিকে, তা তাঁরা বুঝেছেন। তাই SOP দূর-অস্ত্। কিন্তু বাকি দলগুলো? কংগ্রেস-বামদল এ নিয়ে কিছু বলতে পারছে না, কারণ অন্য রাজ্যে, বিশেষত আসামে তাঁরা এর উল্টো দিকে হেঁটেছেন। তাই ভোট হারানোর ভয়ে সেই ধরি মাছ না ছুঁই পানি করে চলেছেন। মিথ্যাচরণে অগাধ ভরসা দু দলেরই। কারণ অন্য রাজ্যের কথা তাঁদের ভাবতে হচ্ছে। তৃণমূলের সে ভয় নেই, অন্য রাজ্যের কথা ভাবার দরকার তার পড়ে না। তবুও সে বলছে না, কারণ আগ বাড়িয়ে নিজেকে কোনঠাসা করা কেন।
আরো বেশি অবাক হওয়ার কথা কংগ্রেস-বাম-আব্বাস জোট নিয়ে। কংগ্রেসের সংগঠন এই রাজ্যে মুর্শিদাবাদ-মালদা ছাড়া খুব একটা নেই। অধিরবাবুর সারা রাজ্যে তেমন দখল নেই। আর বাম দল গুলো সারা রাজ্যেই সংগঠন হারিয়েছে। কিছু নতুন রক্ত দলটাকে চাঙ্গা করতে চেষ্টা করছিলেন কিন্তু 'পলিট - বুড়ো'-র 'সরকারি বামপন্থী' দ্বিতীয় পাহাড়সম ভুল সেই চেষ্টায় জল ঢেলেছে। আইএসেফের সঙ্গে আঁতাত করে minority fundamentalism পরোক্ষে বিজেপির subaltern majoratarianism এর হাত শক্ত করেছে। এঁরা প্রমান করতে চেয়েছেন যে হিন্দু সংখ্যাগুরুবাদকে ঠেকাতে গেলে ধর্মের রাজনীতিই, আইডেন্টিটি রাজনীতিই করতে হবে। আমার ধারণা এতে বাংলায় 'সরকারী' বামপন্থা আরো দুর্বল হবে এবং কংগ্রেস ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অধিররঞ্জন বাবু বোধয় ব্যাপারটা ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছেন। তবে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে এই দুই দলেরই বিজেপি কে ঠেকাতে তৃণমূলকে সমর্থন করতে আপত্তি নেই, কিন্তু পকেট ভোট হারানোর ভয়ে এটা বলা যাচ্ছে না।
বাংলা -বিজেপি সম্পর্কে বলার কিছু নেই, যাবতীয় অসৎ ও দুর্নীতিবাজ লোকেদের ভর্তি করে খুব দ্রুত জনসমর্থন নষ্ট করার পথে এই দল। অন্য দলের নেতাদের টেনে নিয়ে দল ভরে দেয়া ও বাঙ্গালী মধ্যবিত্ত মানসিকতায় কুরুচিপূর্ণ মনে হচ্ছে অনেকের। আসামে বিজেপি যে পথে যাচ্ছে, বাংলা বিজেপি সেই পথেই যাবে বলেই আমার ধারণা।
এনডিএ সরকার ও তৃণমূল সরকারের প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগের মধ্যে ফারাক হচ্ছে এই যে- যেখানে তৃণমূল সরকার প্রথম বার অনেক ইনসিকিউরিটির ফলে আরাবুল- অম্বিকেশ-শিল্যাদিত্যর জন্ম দিয়েছিল, দ্বিতীয়বার এঁরা অনেক নিশ্চিত ছিলেন বলেই অনেক বেশি ও ভালো কাজ করেছেন। অন্যদিকে এনডিএ সরকার দ্বিতীয়বার নিয়ে এসেছে তাঁদের উগ্র রূপ। কাশ্মীর, শাহীনবাগ, জামিয়া, দমন- গ্রেপ্তার,কৃষি আইন সব এঁদের দ্বিতীয় দফার দান।
যত সময় যাচ্ছে পরিস্থিতি কঠিন হচ্ছে বিজেপি র জন্য। এঁরা এখনো প্রার্থী ঠিক করতে হিমশিম খাচ্ছেন। এতো বেশি নেতা এঁরা অন্য দল থেকে তুলে এনেছেন যে কোন্দল সামাল দেয়া কঠিন হচ্ছে। এর ওপর মুখ্যমন্ত্রীর ভাঙা পায়ের ইমেজ খুব ভালো ভাবে জনমনে ছড়িয়ে সমবেদনা নিতে সক্ষম হচ্ছে তৃণমুল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্ডারডগ লড়াকু ইমেজটা আবার প্রচার করা যাচ্ছে। বাংলা বিজেপির কোনো ভালো বক্তা না থাকাটাও একটা বড়ো মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিন্দিতে ভাষণ শুনতে আগ্রহ হারিয়ে গেছে বলেই হয়তো জনসভার পর জনসভায় লোকের ভিড় হচ্ছে না। তাই এঁরা রোড শো এর আশ্রয় নিচ্ছেন।
আমার ধারণা, এই রাজ্য সম্পর্কে প্রশান্ত কিশোরের কথাই ফলে যাবে।
###
শেষতঃ আমার নিজের রাজ্য-আসাম। ঔদ্ধত্য ও নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দখলের চেষ্টা কিভাবে এক দলের বিপর্যয় ডেকে আনে তার উদাহরণ হতে চলেছে এই রাজ্য- এই আমার মনে হয়।
আরএসএস যে এক কাগুজে বাঘ তা আবার প্রমান করে দিলেন হিমন্ত বাবু। নতুবা, আরএসএস হিমন্ত বাবুর মতোই স্বছ ভারত অভিযানের ফসল। আজকাল আদি দুলালের তালমিছড়ির মতোই শুনতে হচ্ছে - আদি বিজেপি। নিজে কংগ্রেস থেকে আমদানি হয়েও আরএসএস মূলের লোকেদের বিতাড়িত করে নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে গিয়ে তিনি হয়তো দলের বিনাশ ডেকে আনছেন। তাতে আমার বিন্দুমাত্র দুঃখ নেই, যদুবংশ এভাবেই ধ্বংস হয়েছিল। ইউজ এন্ড থ্রো নীতিতে সহজেই লোককে বীতশ্রদ্ধ করে ফেলা যায়। তিনি মুখ্যমন্ত্রী কে পুরোপুরি অবাঞ্ছিত করে যখন যেমন জোট শরিক নির্বাচন করেছেন, প্রার্থী নির্বাচন করেছেন, নিজের লোক নিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন, তাতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, লোক অপেক্ষায় থেকেছে।
সে জন্যই আবার মোগল- হিন্দু সুরক্ষা ইত্যাদি কথা বলতে হচ্ছে। তবুও Caa নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না, তাতে আরো লেজে গোবরে হওয়ার আশঙ্কা।
বিজেপি CAA ইস্যুতে সম্পূর্ণ নীরব, এমনকি মনে করিয়ে দিলেও এঁরা কিছু বলছেন না, বরং এড়িয়ে যাচ্ছেন। অন্য দিকে কংগ্রেস এই ইস্যুকে ধরে খুব প্রচার চালাচ্ছে, NO CAA লিখা গামছা বিতরণ করা হচ্ছে সভায় সভায়। কিন্তু যেহেতু এখন নির্বাচন 'উজনি আসামে' সীমাবদ্ধ তাই হয়তো এই আচরণ। পরের দফায় ভোট যখন রাজ্যের অন্য প্রান্তে যাবে, বিশেষ করে বাঙালী অধ্যুষিত এলাকায়, তখন এঁরা সেই রণনীতি নেবেন কিনা তাই দেখার। হতে পারে যে বামপন্থীদের মত এঁরাও ভাবের ঘরে চুরি করবেন।
আসামে ও পরিস্থিতির বদল হচ্ছে। একসময় মনে করা হচ্ছিল যে বিজেপি র কাছে এটা কেক-ওয়াক হবে, কিন্তু যত সময় যাচ্ছে, ব্যাপারটা তত সহজ মনে হচ্ছে না। এই প্রথমবার আসামে কংগ্রেস তার ঘর অনেক আগেই গুছিয়ে ফেলেছে এবং প্রচার শুরু করেছে। বিজেপি র অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস আর ভুল প্রার্থী বাছাই হয়তো এর কারণ হতে পারে।
কিন্তু মজা হচ্ছে তখন যখন বিক্ষুব্ধ 'আদি' বিজেপি রা হঠাৎ করে আবিষ্কার করছেন যে বিজেপি দুর্নীতিগ্রস্ত- কেউ সিন্ডিকেটের মাফিয়া, কেউ গ্যাস সিলিন্ডার এর চোরা কারবারি। এঁরা সেসব জেনেও এতদিন একসঙ্গে ঘর করেছেন, শুধু ক্ষমতার লোভে। সততা কি শুধু টাকার হিসেবে হয়? যখন জাতীয়তাবাদের নামে লোককে বোকা বানিয়ে দেশের অর্থনীতি, বিদেশনীতি, ব্যক্তি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সব খাদের মুখে তখন আমি তো কিছু বলিনি। ধর্ম রক্ষার নামে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা, হত্যা করা হয়েছে তখন আমি কিছু বলিনি। ইলেক্টরেল বন্ড, পিএম কেয়ার্স নিয়ে কিছু বলিনি। এখন সৎ বললে লোকে হাসবে। এঁরা বর্ষাতি পরে চান করেন। এঁদের মধ্যে যাঁরা নির্দল ভোটে দাঁড়াচ্ছেন তাঁরা যদি জেতেন তবে আবার 'ঘরে' ফিরবেন কিনা তা তাঁদের সততার ওপর নির্ভর করবে।
এসব আগেও হয়েছে। এবার খুব কাছে থেকে দেখছি বলে বিস্ময়, কৌতুক ও বিবমিষা একই সঙ্গে হচ্ছে। তবে আমার মনে হয় এ রাজ্যে নির্বাচন শেষ হবার পর মেঘালয়ের রিসোর্ট মালিকদের বিপুল ব্যবসা করার সুযোগ আসবে। তবুও এভাবেই চলবে। এর নামই রাজনীতি।
তবে আমার দাবি থাকবে যে দলই ক্ষমতায় আসুক, তাঁরা কর্মসংস্থান, খাদ্য, দ্রব্যমূল্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদি ছাড়াও আসামের মানুষের নাগরিকত্ব নিয়ে যে অনিশ্চয়তা/সংকট রয়েছে তার প্রতিকার ঠিক কিভাবে করবেন তার ব্যাখ্যা করবেন, দরকার হলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করবেন। বরাকে অন্ততঃ নাগরিকত্বই মূল নির্বাচনী ইস্যু হওয়া উচিত। স্বর্গীয় অমৃতলাল দাসের কবিতার শেষ লাইন ছিল - ভুট আইলে জুয়াফ দিমু মনে মনে আছে।
সেটাই যেন হয়।
জয় মুখার্জি।